রবিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি চিকিৎসকদের জন্য ৮টি কম কঠোর নির্দেশনা ঘোষণা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নতুন নির্দেশনা জারি করেছে যা সরকারি চিকিৎসকদের জন্য বেশ Some কঠোর নিয়মাবলী নিয়ে। এই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি এবং অপব্যবহার রোধে দাবি জানানো হয়েছে। ওষুধ কোম্পানির সরবরাহ করা ওষুধের তালিকা সরকারি হাসপাতালের টেবিলে রাখা যাবে না, এমনই বলা হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন অন্যান্য নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থেঅধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। মূল নিয়মগুলো হলো:

১. বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক বা ওষুধ কোম্পানির অনুমোদিত প্যাডে প্রেসক্রিপশন বা পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া যাবে না। ২. সরকারি হাসপাতালে দেওয়া পরীক্ষার ফল বা ওষুধের উপদেশ বাইরে থেকে করান বা কিনে আনা যাবে না। ৩. শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত বা সরবরাহকৃত সিল ব্যবহার করতে হবে; জেনেরিক নামের বিজ্ঞাপনবিহীন সিল ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। ৪. ওষুধ কোম্পানির সরবরাহ করা ওষুধের তালিকা সরকারি হাসপাতালের টেবিলে রাখা যাবে না। ৫. কোনও কোম্পানির প্রতিনিধি রোগীর প্রেসক্রিপশন বা ব্যক্তিগত তথ্যের ছবি তোলা বা সংগ্রহ করতে পারবেন না। ৬. সপ্তাহে দুই দিন—সোমবার ও বৃহস্পতিবার, দুপুর ১২টা থেকে ২:৩০ মিনিট পর্যন্ত, চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন কোম্পানির প্রতিনিধিরা। ৭. নির্ধারিত সময়ের বাইরে কর্মকর্তাদের সাক্ষাতের অনুমতি নেই, না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৮. সাক্ষাৎ সময়ে কোম্পানির আইডি কার্ড দৃশ্যমান রাখতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়ে বলছে, এই নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে, চিকিৎসকদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যেন সরকারি সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা অটুট থাকে এবং অপব্যবহার রোধ হয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন