সোমবার, ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিপক্ষের রাস্তায় নামলেই সংঘর্ষের আশঙ্কা: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে রাস্তায় protesting করলে পরিস্থিতি অশান্তি ও সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, এই দেশের সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ ও সুস্থিতিপূর্ণ রাজনীতি দেখতে চায়। প্রতিবাদের অধিকার সব দলের আছে, কিন্তু সেটা দেখানো উচিৎ ভাবনা-চিন্তা করে। আমীর খসরু আরও বলেছেন, বড় দল যদি গণবিক্ষোভের নামে রাস্তায় নামে, তাহলে সংঘর্ষ অস্বাভাবিক নয়। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বৃহত্তর দল যদি বিরোধী প্রতিবাদে রাস্তায় নামে, তখন অবশ্যই দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাড়বে। তিনি প্রশ্ন করেন, তাই কি আমরা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য এত সংগ্রাম করছি?

শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে বিশ্বস্ত ট্রেস কনসালট্যান্সি সংস্থার আয়োজিত ‘প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো আতঙ্কগ্রস্ত ও মনোভাবানুযায়ী বিভ্রান্তিতে জর্জরিত। অনেক নেতাই মনে করেন, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বাইরে গিয়ে নতুন ইস্যু সৃষ্টি করলে ঐকমত্য অটুট থাকবে না। তিনি আরও বলেন, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সকলের সম্মতিপত্র থাকতে হবে আর সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের শাসনে আমাদের মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব বেড়েছে। তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন, সবাই যেন নিজের দাবি ও চিন্তাই অগ্রাধিকার দেয়, অন্যের কথা শোনে না।

আমীর খসরু আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, সেটি অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। যেখানে মধ্যে মতভেদ রয়েছে, সেটা জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। সব ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ থাকাই গুরুত্বপূর্ণ।

গণভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংবিধানে গণভোটের কোনও প্রাবন্ধিক নেই। তবে, যদি প্রয়োজন হয় এবং সংসদে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তা গণভোটে যেতে পারে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য এই ধরনের কূটনীতি করে থাকে। মূলত, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা চলছেনা, তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে।

আলোচনায় আরও উঠে আসে, দেশের কিছু শত্রু সন্ত্রাসীদের দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে অপচেষ্টা করছে, যেন নির্বাচন আরও পিছিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু, এ ধরনের ষড়যন্ত্র সফল হবে না, বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রোগ্রামটি শনাক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান আলোচক শফিকুল আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন ট্রেস কনসালট্যান্সির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন। অন্যান্য বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্ডো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম।

পোস্টটি শেয়ার করুন