বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি গতকাল শনিবার ঢাকা में এক বিশাল সমাবেশে বলেন, জাতির পিতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে প্রথমবারের মতো ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির רাহিম’ এই বাক্যটি সংযোজন করেছিলেন, যা এখনও বহাল রয়েছে। অনেকের চেষ্টা ছিল এটি সরিয়ে দেওয়ার, তবে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। সালাহউদ্দিন আহমদ আরও উল্লেখ করেন, কিন্তু যারা মূলনীতির অংশ আকারে এই বিষয়টি তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে, তারা সফল হয়নি। তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস—এটি সংবিধানের প্রস্তাবনায় এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির মধ্যে ছিল। তবে কিছু কারণে বর্তমানে এটি বাদ গেছে।’ এসময় তিনি জনগণকে প্রশ্ন করেন, বিএনপি কি সেটি পুনর্বহাল করবে কি না? সম্মেলনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা একযোগে হ্যা উত্তর দিলে তিনি বললেন, ‘ইনশাল্লাহ, আমরা এটা আবার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব আল্লাহ রহমত করুক, দেশের জনগণ আমাদেরকে ভালোবাসা ও সহযোগিতা করেন, তাহলে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব। পীরে কামেল, উলামায়ে কেরাম এবং দেশের বরেণ্য ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায়, সবাই একসাথে থাকলে আমরা এই দাবি এবং অন্যান্য পাওয়া প্রস্তাবগুলো জাতীয় সংসদে আলোচনা করে গ্রহণ করতে পারব।’ তিনি ব্যক্ত করেন, দেশের উন্নয়ন, শান্তি এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা মুসলমান, আমাদের বিশ্বাস—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি আখেরি নবী, এরপর আর কোন নবী আসবেন না। যারা নিজেকে নবী দাবি করেন, তারা এই বাণীর বাহিরে। আমরা রাসুলের নবী হিসেবে বিশ্বাস করি এবং কলেমা পাঠ করে মুসলমান হয়েছি। বাংলাদেশিরা দেশপ্রেমে অটুট, এখানকার প্রাকৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।’ আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় খতমে নবুয়তের দাবিতে। এতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব, মিশরসহ বিভিন্ন দেশে থেকে আলেম-উলামা ও ধর্মীয় চিন্তাবিদরা অংশ নেন। পাকিস্তানের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সভাপতি ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এছাড়া, মধুপুরের পীর আল্লামা আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানি, পাকিস্তানের বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া মহাসচিব হানিফ জালন্দরি, মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুসআব নাবীল ইবরাহিম, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুক প্রমুখ। এই মহাসম্মেলনে অংশগ্রহণে মূল লক্ষ্য ছিল কাদিয়ানিদের ধর্মীয় অমুসলিম ঘোষণা ও প্রতিরোধের আহ্বান জানানো। এতে দেশের বিভিন্ন আলেম-উলামার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিশিষ্ট বক্তারাও বক্তব্য রাখেন, যারা ইসলামের মূল আদর্শ ও ধর্মীয় ঐক্য বজায় রাখতে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।





