বৃহস্পতিবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখলেন আপিল বিভাগ

বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসনের সংখ্যা পুনরুদ্ধার করে চারটি থাকছে পূর্বের মতোই, এমন সিদ্ধান্তের উপরআরো নিশ্চিত হলো এখন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাগেরহাটের আসন সংখ্যা কমিয়ে তিনটি করার সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ও বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে, ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। তবে ইসি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করলে, গাজীপুর-৬ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকারসহ অন্যান্য পক্ষও আপিল করেন। আজকের শুনানিতে উভয়পক্ষের যুক্তির আলোচনায়, সর্বোচ্চ আদালত বাগেরহাটের চারটি আসনই বহাল রাখার পক্ষে রায় দেন।

আদালতে, আপিলের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান, যেখানে বাগেরহাটের রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। অন্যদিকে, গাজীপুর-৬ এর প্রার্থী ও বিভিন্ন আইনজীবীরা এই মামলাটিতে অংশ নেন।

বাগেরহাটে দীর্ঘদিন ধরে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বিচার্য আসনগুলো মূলত চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট—বাগেরহাট-১; সদর ও কচুয়া—বাগেরহাট-২; রামপাল ও মোংলা—বাগেরহাট-৩; এবং মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা—বাগেরহাট-৪।

তবে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে, ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করে। এতে বাগেরহাটের আসনসংখ্যা কমিয়ে তিনটি করা হয় এবং বাগেরহাট-৪ আসনটি কেটে গাজীপুর-৬ আসন গঠন করা হয়।

এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠন, জেলাব্যাপী রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীরা হাইকোর্টে রিট করেন। ২০২৩ সালের কয়েকটি ধারার শুনানি শেষে, ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুল জারি করে চারটি আসন ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ দেয়। অবশেষে আপিলের আজকের আদেশের ফলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত অপসারণ করে বাগেরহাটে চারটি আসনের অবস্থান ফিরিয়ে আনা হলো।”

পোস্টটি শেয়ার করুন