বিএনপি বিশ্বাস করে যে এখনও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আশা প্রকাশ করে বলেছেন, সম্প্রতি তফসিল ঘোষণা হওয়ার মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে নতুন সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। তিনি বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, নির্বাচন কমিশন যেন নিঃসন্দেহে নিরপেক্ষভাবে, সুষ্ঠুভাবে, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম হয়। আমাদের প্রত্যাশা, সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা এই নির্বাচনের গুরুত্ব বোঝে এবং এটির মধ্য দিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে। কারণ, বিগত ১৫ বছর দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন, গণতন্ত্রের অবস্থা সংকটজনক ছিল। আজকের দিনটি একটি নতুন সূচনার সম্ভাবনা সৃষ্টি করল, যেখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক পার্লামেন্ট গঠনের পথে এগিয়ে যেতে পারবো।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘প্রায় নবমাস ধরে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা চলছিল। অনেক বিষয়ে আমরা একমত হলেও কিছু বিষয়ে মতভেদ রয়ে গেছে, সেগুলোর সমাধানে গণভোটের ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। আমি মনে করি, আজকের এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।’
প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় প্রাথমিকভাবে কোনও সমস্যা বা জোটের সঙ্গে বোঝাপড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনও সমস্যা নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেকার মতপার্থক্য অবশ্যই থাকবে, তবে তারা আলোচনা চালিয়ে যাবে। আমরা এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করিনি, তবে প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছি। যারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।’
একটি দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন হতে যাচ্ছে, এর জন্য মির্জা ফখরুলের বেশ কিছু অনুভূতি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে, এটি আমার জন্য খুবই আনন্দের দিন। আমি আগ থেকেই বলেছি যে, নির্বাচনের ব্যাপারে আমার কোনো শঙ্কা বা ভয় নেই। যদিও কিছু মানুষ এখনও শঙ্কাবাদী হয়ে থাকছেন, আমি জানি নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী এবং তা হবে।’ তিনি আরও জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর যারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তারা ‘শঙ্কাবাদী’ হিসেবেও আখ্যা দেন।





