মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদিতে ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তাার

সৌদি আরবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশটির নাগরিকদের বাসস্থান, শ্রম এবং সীমান্ত সুরক্ষা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সপ্তাহে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। এই খবর প্রকাশ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজ, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে।

অভিযানের সময়কাল ছিল ৪ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর, যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলা যৌথ নিরাপত্তা অভিযান পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আইন লঙ্ঘনকারী প্রবাসীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মূলত তিন ধরনের অপরাধে জড়িত ছিল: আবাসন আইন লঙ্ঘনের জন্য ১২ হাজার ৫০৬ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘনের জন্য ৪ হাজার ১৫৪ জন, এবং শ্রম আইনের লঙ্ঘনের জন্য ২ হাজার ৯১৬ জন। এ ছাড়াও, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশের চেষ্টায় ১ হাজার ৪১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তারকৃত অভিবাসীদের মধ্যে ইথিওপিয়ান ৫৭ শতাংশ, ইয়েমেনি ৪১ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা ২ শতাংশ। একই সঙ্গে, অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টায় আরও ২৪ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া, আইন লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের শুমারি ও পরিবহণের জন্য দায়ী ১৬ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন আদালত প্রায় ৩০ হাজার ৪২৭ প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এর মধ্যে ২৮ হাজার ৭১৮ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৭০৯ জন নারী। গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ২১ হাজার ৮০৩ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য তত্ত্বাবধান করে তাদের ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, ৫ হাজার ২০২ জনের সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১২ হাজার ৩৬৫ জন ইতোমধ্যে দেশে প্রত্যাবাসিত হয়েছে। দেশটিতে অবৈধ প্রবেশের জন্য সহায়তা ও সহযোগিতা করার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে, যেখানে ১৫ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়ালের জরিমানা হতে পারে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বারবার এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দিচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষ বাস করছে, যার মধ্যে লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে অবৈধ প্রবেশ ও আইনি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অভিযান ও গ্রেপ্তারকৃতদের খবর প্রকাশ করে চলেছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন