বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে স্বর্ণের দাম, তিন দিনে সাড়ে চার হাজার টাকা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত

গত তিন দিনে ভরিতে স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে ৪ হাজার ৫০২ টাকা। এর ফলে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার টাকায়। মূল কারণে এই দামে বৃদ্ধি হলো বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দরবৃদ্ধি, যার ফলশ্রুতিতে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি শুক্রবার থেকে স্বর্ণের দামে অতিরিক্ত বাড়তি মূল্য যোগ করছে। রোববার থেকে তারা ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা প্রথম বৃদ্ধি করেন, এরপর আরও ৩ হাজার ৪৫২ টাকা বাড়ানো হয়। এর ফলে তিন দিনে মোট সাড়ে ৪ হাজার টাকার বেশি দাম বাড়লো। এর আগে বিশ্ববাজারে আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।

নতুন দাম অনুযায়ী, রোববার থেকে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম উঠেছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা, যা গেল শনিবার ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা। অর্থাৎ, শনিবারের তুলনায় রোববার দাম বেড়েছে ৩ হাজার ৪৫২ টাকা।

অন্যদিকে, হলমার্ক করা ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের মূল্য এখন ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা, যা আগের থেকে ৩ হাজার ৩০১ টাকা বেশি। ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম বেড়ে এখন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা। এছাড়াও সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যেখানে এর আগে ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা।

বিশ্ববাজারে চলতি বছর স্বর্ণের দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গোল্ডম্যান স্যাকস মনে করছে, ভবিষ্যতে স্বর্ণের দাম আরও বাড়বে একাধিক কারণে, তবে বেশি কিছু চাহিদা থাকা নয়। বরং বিনিয়োগকারীরা স্টকের পাশাপাশি স্বর্ণ কিনলে এর দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ যত বেশি বিনিয়োগ হবে, স্বর্ণের দাম তার চেয়েও বেশি হারে বাড়বে।

গোল্ডম্যান স্যাকসের পূর্বাভাস, আগামী বছর স্বর্ণের দাম অতটা বাড়বে না। তবে চলতি বছরে বিভিন্ন কারণের জন্য স্বর্ণের মূল্য বেড়ে যাওয়া অব্যাহত থাকবে। প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ কেনার ধারা চলমান থাকবে। দ্বিতীয়ত, ফেডারেল রিজার্ভ সম্প্রতি নীতি সুদ কমিয়েছে, যা ডিসেম্বরে এখনও অব্যাহত রয়েছে।

বৈশ্বিক আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের বিকল্প খুঁজছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে হস্তক্ষেপের কারণে ডলারভিত্তিক বিনিয়োগের তুলনায় স্বর্ণে বিনিয়োগের ঝুঁকি কম মনে করছে তারা। ফলে, নিরাপত্তার জন্য বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছে, যা স্বর্ণের দাম আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

পোস্টটি শেয়ার করুন