শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নরওয়ের জেলেদের জালে আটকা পড়লো মার্কিন সাবমেরিন

চলতি সপ্তাহে নরওয়ের জেলেদের একটি দল মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে এসেছিল। তখন ৭ হাজার ৮০০ টন মার্কিন নৌবাহিনীর পারমাণবিক চালিত একটি সাবমেরিন তাদের জালে জড়িয়ে পড়ে এবং কোস্টগার্ডের কাছে অ্যালার্ম কল পৌঁছে যায়। জেলেরা প্রথমে এটিকে বড় কোনও মাছ ভাবলেও সেটি যে সাবমেরিন হতে পারে তা কল্পনাতীত ছিল। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার এই খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রমসো উপকূলে মাছ ধরার সময় জেলেরা ভেবেছিল, তাদের জালে হালিবুট নামের এক ধরণের বড় সামুদ্রিক মাছ আটকা পড়েছে। তবে তাদের জালে ধরা পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭৭ ফুট দীর্ঘ ও ৭ হাজার ৮০০ টন পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন ইউএসএস ভার্জিনিয়া। একটি নরওয়েজিয়ান কোস্ট গার্ড জাহাজের সঙ্গে বন্দরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল এটি। প্রায় দুই নটিক্যাল মাইল দূরত্ব পর্যন্ত সাবমেরিনটি তাদের জাল টেনে নিয়ে যায়।

সম্প্রচারকারী এনআরকে নিউজ জানিয়েছে, হ্যারাল্ড এনগেন নরওয়ের পশ্চিম উপকূলের একটি গ্রামে হালিবুট সরবরাহ করছিলেন। তখন তিনি একটি বার্তা পান, যেটিতে বলা হয়, একটি মার্কিন সাবমেরিন ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি যাত্রা করার সময় নৌকার জালে আটকে পড়েছে এবং সেটি নৌকাটিকে সমুদ্রে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

এনগেন বলেছিলেন, ‘আমি মাছ ধরার জালের ওপর দিয়ে যাত্রা করা অন্যান্য জাহাজের কথা শুনেছি। তবে এই অঞ্চলে কেউ কখনও সাবমেরিনের কথা শুনেনি।’

মার্কিন ৬ষ্ঠ নৌবহরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট পিয়ারসন হকিন্স ইনসাইডারকে বলেন, এ ঘটনায় কেউ আহত হননি এবং ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে নৌবাহিনী।

জেলেদের ধ্বংস হওয়া জালের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে নরওয়ের কোস্ট গার্ড ও মার্কিন নৌবাহিনী উভয়ই।

১৯৯৯ সালে একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল, যেটি বেশ দুঃখজনক হয়ে ওঠে। একটি ব্রিটিশ মাছ ধরার নৌকার জালে রয়্যাল নেভি আটকে পড়ে এবং নৌকাটি ডুবে যায়। এতে চার ক্রু’র মৃত্যু হয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন