রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এ আর রাহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন সায়রা

গত কয়েক দিনে নেটপাড়া উত্তাল অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রাহমান ও সায়রা বানুর বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা নিয়ে। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে তাঁর ২৯ বছরের দাম্পত্যজীবন শেষ হচ্ছে—এমন ঘোষণায় অবাক ভক্ত-অনুসারীরা। বিচ্ছেদ নিয়ে তুমুল চর্চার মধ্যে মুখ খুললেন সায়রা।
রাহমান নিজেও ভেবেছিলেন একসঙ্গে ৩০তম বর্ষে পদার্পণ করবেন। কিন্তু তা আর হলো কই। এর মাঝে নয়া গুঞ্জন রাহমানের দলের বেসিস্ট মোহিনীকে ঘিরে। কারণ, রাহমানের বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার ঘণ্টাখানেকের মাথায় তিনিও নিজের স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে ঘোষণা করেন, তাঁরা আলাদা হচ্ছেন। এর পর থেকে মোহিনী ও রাহমানের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই চেন্নাই ছেড়েছেন সায়রা বানু। মুম্বাইয়ে রয়েছেন তিনি।

রাহমান ও মোহিনীকে নিয়ে ক্রমাগত যে ধরনের তথ্য প্রকাশ্যে আসছে, তাতে বিরক্ত পরিবার। ইতিমধ্যেই বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন ছেলেমেয়েরা। রাহমান নিজেও এ ধরনের তথ্য মুছে ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। নয়তো মানহানির মামলা করবেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সায়রা বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরেই আমি অসুস্থ। সেই কারণে চেন্নাই ছেড়ে মুম্বাইয়ে এসেছি। আমি সবকিছু থেকে বিরতি নিতে চেয়েছিলাম আসলে। সব ইউটিউবার ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের অনুরোধ করছি রাহমানের নামে কোনো খারাপ কথা বলবেন না। তাঁর কোনো দোষ নেই। তাঁর মতো মানুষ হয় না। আমার দেখা সেরা মানুষ।’

শেষে সায়রার সংযোজন, তিনি কেবলই শারীরিক অসুস্থতার জন্য চেন্নাই ছেড়েছেন। তাঁর কথায়, ‘আমি জানতাম, আমি চেন্নাইতে না থাকলেই লোকজন ভাববে, সায়রা কোথা গেল? আসলে আমার চিকিৎসা চলছে। চেন্নাইতে রাহমানের এত ব্যস্ততা থাকে যে ওখানে থাকলে এটা সম্ভব হতো না। আমি রাহমান কিংবা ছেলেমেয়েদের বিরক্ত করতে চাইনি।’

এই বিচ্ছেদ নিয়ে এ আর রাহমানের স্ত্রীর আইনজীবী বন্দনা শাহ জানিয়েছেন, দীর্ঘ তিক্ততা এই বিচ্ছেদের নেপথ্য কারণ। উভয় পক্ষই আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন মিটিয়ে নিতে। কিন্তু তা আর সম্ভব নয়।

ফলে দীর্ঘ দাম্পত্যের পর এই সিদ্ধান্ত নিতে যথেষ্ট কষ্ট হয়েছে তাঁর। কিন্তু সায়রা অপারগ। তাঁদের বিচ্ছেদের পর বিপুল অঙ্কের খোরপোশ পাবেন সায়রা, এই নিয়ে ইতিমধ্যে নানা কথা শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।

পোস্টটি শেয়ার করুন