শনিবার, ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলনে উৎসাহ ও উদ্দীপনা

দীর্ঘ আট বছর পর আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা বিএনপির দ্বি-বাষিক সম্মেলন। এই গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের জন্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছাস, প্রফুল্লতা ও উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। ২০১৭ সালে শেষবার বিএনপির এই সম্মেলন হয়েছিল, এরপর সরকারি বিভিন্ন বাধা ও প্রতিবন্ধকতার কারণে আর কোনো সম্মেলন সম্পন্ন হয়নি। তবে এবার, অভ্যুত্থান attempted এর পর থেকে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন করে আলোর আলো দেখা দিচ্ছে, তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই সম্মেলনকে সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে এবং শহরে বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙ্গানো হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীরা মনে করেন, সবশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্মেলনের জন্য নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে বাদ পড়েছেন। মূল প্রার্থীরা হলেন, সভাপতি পদে একজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে চারজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এ ছাড়া, সম্মেলনে মোট কাউন্সিলর রয়েছেন ৮০৮ জন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, এবং উদ্বোধন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা থাকবেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের শক্তি আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছে দল। দলের কারো কারো মতে, এই সম্মেলন থেকেই আরও বেশি শক্তিশালী হবে জেলায় বিএনপি। আশা করা হচ্ছে, এতে কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব আসবে। তবে, মহাসচিবের সিদ্ধান্তই গ্রহণযোগ্য অবস্থানে থাকবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রস্তুতি নিয়ে নারার্স স্বচ্ছতা ও সুন্দর সম্মেলনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন নির্বাচন কমিশনের অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান চৌধুরী। এর পাশাপাশি, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সঙ্গে থাকছে সেনাবাহিনীও।

পোস্টটি শেয়ার করুন