সরকার একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা সমন্বিত প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, উপদেষ্টা পরিষদ একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্যান্য বাহ্যিক প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন হয়। একই সঙ্গে বিশ্বস্ততা ও স্বচ্ছতার জন্য পুলিশ ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগের জন্য একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই দুই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী থাকবেন।
সভায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় পুলিশের ক্ষমতায়ন ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে। প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন যে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যেন আরও ক্ষমতাবান হয়ে ওঠে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজেদের তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করতে পারে, সেই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এছাড়াও, স্বাস্থ্য খাতের আধুনিকীকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়। শফিকুল আলম বলেন, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষক merasa সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্য উপায়ে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করা হবে।’
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ও অবস্থান বিষয়েও বৈঠকে আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব জানিয়েছেন, ‘নেপালে বাংলাদেশের নাগরিকরা সুস্থভাবে আছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দূতাবাস তাদের দেখাশুনা করছে। ইতিমধ্যে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশের ফুটবল দলের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘আজকের এই সিদ্ধান্তগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’
উপদেষ্ঠা পরিষদের প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বৈঠকের তারকা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।