সোমবার, ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরের পেয়ারপুরে অবৈধ বালু ব্যবসা জনদূর্ভোগের কারণ

মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের রাস্তার পাশে জনবসতি এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসা চালানোর কারণে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী এক ব্যক্তি, ইলিয়াস ব্যাপারী গং, দীর্ঘ দিন ধরে এই এলাকায় বালুর স্তূপ করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে জনগণের চলাচলে বিশাল বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, আবার অনেক বাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে, যা পরিবারগুলোর জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে গৃহহীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

পেয়ারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইলিয়াস ব্যাপারী প্রভাবশালী হয়ে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে বালু বিক্রি করছেন। এর ফলে আঞ্চলিক সড়কগুলো প্রায়ই বালুর স্তূপে ভরে যায়, ফলে পথচারী ও যানবাহনের জন্য চলাচল মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই সমস্যা আরো বেশি প্রকট হয়। মোঃ নুরুল হক জমাদ্দার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এ বিষয়ের সঙ্গে আমাদের আদালতে মামলা চলছে। বালু ব্যবসার আড়ালে বেরিকেড ও কাদাপানি সৃষ্টি হয়, যা আমাদের বাড়ির সামনে বালুর স্তূপ করে অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছেন ইলিয়াস ব্যাপারী গং। এর ফলে চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়েছে। সাথে আরো দেখা যাচ্ছে, রাস্তার ছোট অংশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, ফলে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বৃষ্টির সময় পানি ও কাদা ঢুকে পড়ছে আমাদের বাড়িতে।

আরেকজন বাসিন্দা আঃ আজিজ জমাদ্দার বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না কারণ রাস্তা পানিতে ভরা। তারা বার বার প্রশাসনকে অভিযোগ করেছেন, কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন সময় থেকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেয় না। ফলে বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নিতে হয়েছে।

অভিযোগের অনুযায়ী, এলাকাবাসী অবিলম্বে এই অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধ বা অন্যত্র সরানোর জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তারা চান, বালুর ব্যবসা বন্ধ করে স্বাভাবিক החיים ফিরিয়ে আনা হোক।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। তারা আদালতের নির্দেশনা পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

এখন এলাকাবাসী আদালতের ওপর নির্ভর করে আশায় বসে আছেন, কারণ আদালত হলো তাদের ন্যায়ের স্থান এবং যেখানে তারা সত্যিকারভাবে ন্যায়বিচার পাবেন বলে মনে করে থাকেন। আর এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য তারা আশা করছেন, দ্রুত এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হবে। অন্যদিকে, বালু ব্যবসায়ী ইলিয়াস ব্যাপারীর মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য জানাতে পারেননি।

পোস্টটি শেয়ার করুন