হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনি ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে সম্প্রতি এক পাগলা কুকুরের কামড়ে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গ্রামে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে শিশু ও কিশোররা ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ভীতি দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে, যখন হঠাৎ করে এই কুকুরটি গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করে অপ্রয়োজনে মানুষজনের ওপর হামলা চালাতে শুরু করে। ফলে অনেকেই দিকবিদিক ছুটোছুটি শুরু করেন। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা দ্রুত মসজিদে মাইকিং করে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান। সেখানে স্থানীয় মুসল্লিরা পাগলা কুকুর থেকে সাবধান থাকতে ও এটি নিধনের জন্য প্রচার চালান। আহতদের মধ্যে মিলাদ মিয়া ও মনোয়ারা বেগমের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক, এবং তাদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন যে, এই কুকুরটি ছিল লাল রঙের এবং হঠাৎ করে গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। घटना পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কুকুরটি এখনও আটক বা নিধন সম্ভব হয়নি। সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমাদের বাচ্চাদের জন্য এটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুকুরটির ভয় করে স্কুলে যেতে পারছি না। আমরা দ্রুত সরকারি উদ্যোগের দাবি জানাচ্ছি।’ সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের পাগলা কুকুর ধরা বা র্যাবিসের টিকা দিতে আমাদের আধিকারিকদের প্রযুক্তি বা ব্যবস্থা নেই। বন বিভাগ এই কাজ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রামবাসীরা দ্রুত সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ ও স্থায়ী সমাধান চান।
