মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে পাঁচ বখাটের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সময়, উপজেলার ষাইটঘর তেওতা বটতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর স্থানীয়রা বখাটে পাঁচজনকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
পরিচিতরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা হলেন তেওতা ইউনিয়নের সাতুরিয়া গ্রাম থেকে পান্নু শেখের ছেলে ইমরান শেখ (৩২), একই এলাকার আলী চাঁনের ছেলে আশিক খাঁ (২৪), চরধুবলীয়া গ্রামের মৃত বিষা খাঁর ছেলে শিপন খাঁ (২৪), পয়লা গ্রামের তোता শেখের ছেলে ইয়াছিন শেখ (২২), এবং ভাঙ্গা বাড়ির মৃত আজাহার আলীর ছেলে ফরিদ শেখ (২০)। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে শিবালয় থানায় নারী ও শিশু নির্য়াতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শ্রুত数据显示, এই ঘটনায় ঘটে এরূপ ঘটনা যখন স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী তার বান্ধবীর সঙ্গে বাসায় ফেরার পথে। রবিবার বিকেলে বাস থেকে নামার পর তারা ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময়, ইমরান, আশিক, শিপন, ইয়াছিন এবং ফরিদ নামে পাঁচজন বখাটে তাদের গতিরোধ করে। তারা ওই ছাত্রীকে ওড়না ধরে টান দেয়, তাকে মাটিতে ফেলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনার আকস্মিকতায় তারা চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন এবং তাদের উদ্ধার করে আটক করেন।
আদালত রিপোর্টে বলা হয়েছে, উত্তেজিত স্থানীয়রা বখাটেদের পিটিয়ে আহত করে শিবালয় থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মামলা করেছেন।
শিবালয় থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, “ইভটিজিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্য়াতন আইনে মামলা রুজু হয়েছে। বর্তমানে তাদের আদালতের মাধ্যমে বিচার করার প্রক্রিয়া চলমান।” পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার স্বৈরাচার ও ইভটিজিং বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং এ ধরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।