মঙ্গলবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও আহ্বান

দেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকায় সম্প্রতি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, আমাদের আরও বেশি সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন। তিনি মনে করেন, শুধু স্তন ক্যান্সার নয়, সারাদেশে নানা ধরনের ক্যান্সারের রোগী সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে হবে, পাশাপাশি আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থাও শক্তিশালী করতে হবে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর ন্যাশনাল বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান। বলেন, আমরা যদি প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে পারি, তবে দেশের সব অঞ্চলে ক্যান্সার সচেতনতা ও চিকিৎসার সুযোগ পৌঁছে যাবে।

উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে প্রতিটি বিভাগীয় হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনি ও ডায়ালাইসিস কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, ক্যান্সার effectively চিকিৎসার জন্য লিনাগ মেশিনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তিনি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, সরকার ইতিমধ্যেই ৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ষষ্ঠটি লিনাগ মেশিন ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছাবে।

স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের অংশ হিসেবে স্তন ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আশ্বাস দেন যে, সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে একটি ফাইল আনুযোগ্যভাবে এক মাসের বেশি সময় থাকছে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন শেষে হয়তো সবাই থাকব না, কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ এনজিওয়ের মতো প্রতিষ্ঠান সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে। তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে চাই, তবে অর্থের অভাবে পর্যাপ্ত আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা অর্জন সম্ভব হয় না। বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেশে আনার মাধ্যমে এই অভাব পূরণের সুযোগও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সুতরাং, এই ব্যবস্থা গ্রহণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সবাইকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান তিনি।

অর্থাৎ, দ্রুত ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা ও早বিধান বাধ্যতামূলক। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, স্তন ক্যান্সার শনাক্ত হলে শতভাগ নিরাময় সম্ভব। এ জন্য লজ্জা বা ভয় না পেয়ে দ্রুত স্ক্যানিং করানোর গুরুত্ব্ব অনুভব করতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন