বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন স্পষ্ট করে বলেছেন যে, সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি। তিনি বলেন, এই বিষয়ে কোনও আপসোস বা দ্বৈত অর্থ নেই, কারণ সরকারের অনুমোদন ছাড়া ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে পারবে না। দামের পরিবর্তন যদি হয়, তবে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তিনি সতর্কIDGETীত করেছেন।
এর আগে, গত সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মূল্যগুলি ১৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ৬ টাকা বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষ করে, খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ৮ টাকা বৃদ্ধির পর ১৭৭ টাকা হয়েছে। এছাড়াও, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ২৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, এবং প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬৩ টাকা হয়েছে।
অপরদিকে, অর্থনীতি উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে শেখ বশিরউদ্দীন ফার্নিচার শিল্পের বিকাশ ও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সরকারের আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দেশের এই শিল্পে বেশ বড় সম্ভাবনা রয়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশের উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
২০তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি। তিনি বলেন, বিগত সরকার অর্থনীতিতে কিছু ‘বুদবুদ’ সৃষ্টি করেছিল, যা কর্মসংস্থান তৈরি না করে ব্যাংক ও অফিসের সংখ্যা বাড়িয়েছিল। একারণে বর্তমান সরকারকে সংকোচনমূলক অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করতে হয়।
শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, ফার্নিচার শিল্পের বৈশিষ্ট্য যেমন কার্যকরীতা ও নান্দনিকতা ঠিক মতো থাকছে না, আর উদ্ভাবনও কম। সরকার এই শিল্পে আধুনিক নীতিগ্রহণ করছে, তবে ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই শিল্পের জন্য নতুন বাজার অনুসন্ধানে কাজ করছে এবং দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন যে, এই শিল্পের জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিগুলি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
অনুষ্ঠানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)’র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ এবং বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. কে এম আখতারুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন।
এই মেলায় ৪৮টি শীর্ষস্থানীয় ফার্নিচার কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে। তারা আধুনিক নকশা ও পণ্যসমূহ প্রদর্শন করবে ২৭৮টি স্টলে।
বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের হল-১, হল-২ এবং হল-৩ মিলিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ‘আমার দেশ, আমার আশা—দেশীয় ফার্নিচারে সাজাবো বাসা’ এই স্লোগানে আয়োজিত এই মেলা দেশের ফার্নিচার শিল্পের অন্যতম বড় উৎসব।





