চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলছে, যেখানে ভোট দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে এই সমস্যা তুলে ধরা হয়, যারা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনে সমাধানের জন্য অভিযোগ দেবেন বলে জানান।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমাদের কথা ছিল যে, ভোটের জন্য দেওয়া কালি একদম স্থায়ী থাকবে এবং মুছে যাবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কালি দ্রুত মুছে যাচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেবেন বলে আপনি নিশ্চিত করেছেন।
অন্য একজন শিক্ষার্থী ইমরান রায়হান বলেন, আমি কি প্রশ্ন করতে পারব যে আমি ভোট দিয়েছি? কারণ আমি মাত্র ভোট দেওয়া শেষ করলাম, আর একটু ঘষলেই কালি উঠে যাচ্ছে। ফলে ভোট দেওয়ার পরেও এটা স্পষ্টভাবে জানা যায় না যে কোনও শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছে কি না।
সম্পূর্ণ ৩৫ বছর পর এই প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। আজ সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। এবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের ভবনে স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৬১টি ভোটকক্ষ। চাকসুর মোট ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, এবং হল ও হোস্টেল সংসদের জন্য লড়ছেন ৪৯৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।