শনিবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা চুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে

সৌদি আরব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি করার আলোচনায় রয়েছে। আগামী নভেম্বরের গ্রেট ওয়াশিংটন সফরে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে আলোচনা শেষে এই চুক্তিটি স্বাক্ষর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস সূত্রে প্রকাশ, এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অবগত কর্মকর্তাগণ। এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের সময় এই চুক্তি সম্পাদনের আলোচনা চলছে, তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি, সূত্রের দাবি, এই চুক্তিটি কাতারের সঙ্গে recent প্রতিরক্ষা চুক্তির মতো হতে পারে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র কাতারের ওপর হামলা হলে সেটিকে তার ওপর হামলা হিসেবে দেখা হবে। গত মাসে, ইসরায়েলের হানা দেয়া বিমান হামলার পর কাতার-যুক্তরাষ্ট্রের এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায় যে, এই ধরনের সহযোগিতা তাদের আঞ্চলিক কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে তারা এখনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। রোয়েরটার্সের পক্ষ থেকে মন্তব্য চাওয়া হলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোয়াইট হাউস এবং সৌদি সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে। পাশাপাশি, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, সৌদি আরবও নিরাপত্তার জন্য কাতারের মতো গ্যারান্টি দাবি করছে। অন্যদিকে, গত মাসে সৌদি আরব পাকিস্তানের সঙ্গে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিও স্বাক্ষর করে, যা দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের আঞ্চলিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই চুক্তিটি শুধুমাত্র সামরিক সহযোগিতা নয়, এটি মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা সংকটের প্রেক্ষাপটে একটি কৌশলগত বার্তা বহন করে। চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, কোন দেশের উপর আক্রমণ হলে তা উভয় দেশের বিরুদ্ধে আঘাত হিসেবে গণ্য হবে এবং যৌথভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন