দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া, একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ দিন ধরে চলা সীমান্ত সংকট সমাধানের পথে এগিয়ে গেছে এ অঞ্চল। এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি নিজেও চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও উপস্থিত ছিলেন। বার্তাসংস্থাএএফপি জানিয়েছে, রোববার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া সফরের প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতের পর এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ এক মোড়ের সূচনা নির্দেশ করে। ট্রাম্পের উপস্থিতিতে, থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর আগে, রোববারই মালয়েশিয়ায় পৌঁছান ট্রাম্প, যেখানে তিনি এশিয়া সফর শুরু করেন। দেশটিতে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও সফর করবেন। তবে এই সফরের সবচেয়ে আলোচিত অংশ হতে যাচ্ছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক। এই বৈঠকে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে, যা দু দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অবসানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প বিমান থেকে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আশাবাদী যে চীন নতুন চুক্তিতে রাজি হবে, যেন আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ব্যবস্থা বন্ধ হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় রয়েছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সম্ভাবনা, যা হতে পারে এই প্রথম পরের বছর ২০১৯ সালের পর। মালয়েশিয়া সফর শেষ করে সোমবার ট্রাম্প জাপানে পৌঁছাবেন, যেখানে তিনি জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি তাকাইচিকে ‘চমৎকার একজন নেতা’ বলে প্রশংসা করেছেন এবং বলেন, এটি মার্কিন-জাপানি সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক। তাকাইচি সম্প্রতি ট্রাম্পকে ফোনে জানিয়েছেন যে, তার সরকারের প্রধান কূটনৈতিক লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোট আরও শক্তিশালী করা। এরপর, ট্রাম্প আগামী বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান পৌঁছাবেন, যেখানে তিনি এপেক সম্মেলনে অংশ নেবেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শেষ পর্যায়ে, বৃহস্পতিবার তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকটি আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি হতে পারে ট্রাম্পের ক্ষমতা ফিরিয়ে আসার পর শি চিন পিংয়ের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। দুই নেতা এই বৈঠকে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের সমাধান নিয়ে আলোচনা করবেন, যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।





