বুধবার, ২৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের প্রস্তুতি অগ্রগতি ৯০-৯৫ শতাংশ: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি বর্তমানে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি গতকাল সোমবার ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয় সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ের সময় এ তথ্য দেন। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি শতকরা হারে বলি, তবে এখনো আমরা ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রস্তুত। তবে, রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন এই সপ্তাহে সম্পন্ন হলে প্রস্তুতি আরও এককliasপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ হবে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী দুটো ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি ধীরগতিতে চলেছে। এগুলো হলো রাজনৈতিক দল নিবন্ধন এবং পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন। বর্তমানে ২২টি রাজনৈতিক দলকে আমরা প্রাথমিকভাবে বিবেচনায় নিয়েছি। তাদের জন্য মাঠে আরও কিছু তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে, ইনশাআল্লাহ, এই সপ্তাহের মধ্যেই তার নিষ্পত্তি হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা সামান্য পিছিয়ে আছি, তবে কোনো উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। ইনশাআল্লাহ, বাকি সময়ের মধ্যে সব কিছু সমাধানের জন্য আমরা কাজ চালিয়ে যাব। পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, দেশের পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলছে। কিছু জায়গায় সাংবাদিকদের তথ্য-সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠছে, আশা করছি এই সপ্তাহের মধ্যেই সব নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। আরপিও সংশোধন নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি এখন আইনমন্ত্রালয়ে রয়েছে এবং কমিশন পরে সিদ্ধান্ত নেবে। এদিকে, আরপিও সংশোধনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারেও তিনি মত ব্যক্ত করে জানান, এখনো পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের পক্ষে থেকে পাঁচটি দৃষ্টিকোণ থেকে এই সংশোধনগুলো বিবেচনা করেছে। এগুলো হলো: স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা, ভাষাগত বা সংখ্যাগত সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা, রাজনৈতিক ঐক্যমতের অভাব, বিদ্যমান আইনের যথাযথ ব্যবহার ও কমিশনের নিজস্ব মূল্যায়ন। এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগত অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রতীকের বিষয়েও তিনি বলেন, কমিশন ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো বিকল্প প্রস্তাব আসেনি; ফলে তারা আগের সিদ্ধান্তের বাইরে যায়নি। এখনো তারা সহবিবেচনায় একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে বলে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে, চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৭৬১টি, যেখানে মোট ভোটকক্ষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি। এই সংখ্যা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত। রাজধানীসহ সব জেলার জন্য আলাদা আলাদা তালিকা স্থির করা হয়েছে। এ নির্বাচনে মোট ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে এই ভোটকেন্দ্র চালু হবে। আখতার আহমেদ আরও জানান, পুরুষ ভোটারদের জন্য এক লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি এবং মহিলাদের জন্য এক লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি ভোটকক্ষ নির্ধারিত হয়েছে। এভাবে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এছাড়াও, প্রাথমিকভাবে স্থাপনের জন্য ১৪টি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হয়, যেখানে প্রায় ১২ হাজার ভোটকক্ষ থাকবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে প্রায় ৩ হাজার ভোটার হবে বলে ধারণা। এই সংখ্যা প্রয়োজন অনুযায়ী সামঞ্জস্য করা হবে। আগের বছর, অর্থাৎ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৪২ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ছিল এবং মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৪৭২। চলমান নির্বাচনে কেন্দ্রের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে তবে ভোটকক্ষের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন