রাশিয়া যদি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, তাহলে ন্যাটো সামরিক মহড়া দিয়ে পাল্টা হুমকি দিয়েছে। বেলজিয়ামের প্রতিরক্ষামন্ত্রী থিও ফ্রাঙ্কেন প্রকাশ করেছেন, তিনি কঠোর ভাষায় বলেছেন, ‘‘যদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ব্রাসেলস লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে, আমরা মস্কোকে ‘মানচিত্র থেকে মুছে দিতে’ প্রস্তুত।’’ এটি যেন একটি শক্তিশালী বার্তা যা পশ্চিমা শক্তিগুলির দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা মনোভাবকে তুলে ধরে।
এছাড়া, তিনি ইউরোপে ৬০০টি ফাইটার জেট—এফ-৩৫ মোতায়েনের পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছেন। গত ২৮ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘পুতিন যদি কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, তাহলে আমরা কোনো দ্বিধা না করে কঠোর প্রতিশোধ নেব। ইউরোপের নিরাপত্তায় আমেরিকার সহায়তা অব্যাহত থাকবে এবং ন্যাটো ঐক্যবদ্ধভাবে থাকছে।’’
বেলজিয়ান দৈনিক ডি মরগেনের সাক্ষাৎকারে ফ্রাঙ্কেন মন্তব্য করেন যে, ‘‘ইউরোপে আমেরিকার বিরুদ্ধে এত বেশি পক্ষপাত আছে যে তা অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট করে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে থাকছে। ব্রাসেলসের ওপর যদি ক্রুজ মিসাইল হামলা হয়, তবে সবাই জানে— কেউই দ্বিধা করবে না।’’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘রাশিয়া তাদের সামরিক সক্ষমতাকে খানিকটা হালকা ভাবে দেখার ভুল করলে চলবে না। তাদের এই সক্ষমতা এখন অনেক বেশি, যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ চতুর্থাংশের চেয়ে বেশি উৎপাদন করছে তারা। অথচ ইউরোপে এখনও কোনো কেন্দ্রীয় সামরিক রাশ্ট নেই।’’
ফ্রাঙ্কেনের মতে, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেনে সমস্যা মোকাবিলা করছে কারণ তারা পশ্চিমা বিশ্বকে বিপক্ষে তুলেছে। ইউক্রেনীয়রা আমাদের অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অর্থ দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যথায় তারা অনেক আগেই পরাজিত হত।’’ তিনি আরও যোগ করেন যে, ‘‘রাশিয়া ও চীন একসঙ্গে পশ্চিমের মোকাবিলা করছে বলে বড় ধরনের ঝুঁকি দেখা যায়। চীন চাইছে ইউক্রেন যুদ্ধ যত সময় সম্ভব চালু থাকুক যাতে পশ্চিমা শক্তি দুর্বল হয়। তারা রাশিয়াকে কাঁচামাল বিক্রি করছে, অস্ত্র সরবরাহ দিচ্ছে, এবং উত্তর কোরীয় সেনা পাঠানোরও সমর্থন দিচ্ছে।’’
অবশেষে, তিনি সতর্ক করে বলে যান যে, ‘‘রাশিয়া ভবিষ্যতে বড় আক্রমণ করতে পারে এমন জোরালো কোনো ইঙ্গিত এখনও দেখা যাচ্ছে না, তবে তারা ন্যাটো দেশের ভিতরে বড় আঘাত চালাতে পারে। ইউরোপে শিগগিরই ৬০০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েন হবে, যা রাশিয়ানদের জন্য ভয়ংকর। কারণ এগুলো শনাক্ত করা খুব কঠিন, আর এগুলোর উপস্থিতি রাশিয়াদের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে।’’





