বর্তমানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাজনীন নাহার নীহা। অভিনেত্রী বলেন, প্রথম দিন যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন তিনি অতিরিক্ত Nervous ছিলেন। তার এই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি নিজেই শেয়ার করেছেন। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর সময় তার নাটক “লাভ সেমিস্টার”-এ ছিলেন, যেখানে তিনি প্রবীর রায় চৌধুরীর সাথে কাজ করেছেন।
নাটকের জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন প্রবীর দাদা। তখন ইমরাউল রাফাত ভাই তার নাম বলেছিলেন। রাফাত ভাই তার পূর্ব পরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন সময় অভিনয়ের অফার দেন তাঁকে, কিন্তু কম বয়স ও পরীক্ষার কারণে তখন তিনি রাজি হননি। পরে প্রবীর দাদার প্রস্তাবে ভেবে চিন্তে শখের বসেই সম্মতি দেন। প্রবীর দাদা ওই নাটকের চরিত্রের বিস্তারিত ধারণা, গাইডলাইন দেন এবং প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করেন। শেষমেশ, যখন শুটিং শুরু হলো, তখন তাঁর ভয় পুরোপুরি কাটতে পারেনি।
প্রবীর দাদা তাকে নির্দেশ দেন, শুটিং স্পটে সবার সাথে নিজে গিয়ে কথোপকথন করতে। এতে করে যে তিনি সহজে মিশে যেতে পারবেন। সেই পরামর্শ অনুযায়ী তিনি কাজ করেছেন।
প্রথম দিন তিনি কোনো সংলাপ বলেননি, শুধুমাত্র দুটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অভিনয় করেছিলেন। ক্যামেরার সামনে ভয়ে ভয়ে প্রথম সংলাপহীন অভিনয় তার ভয় দূর করে দিয়েছিল। এছাড়া সবাই তার সাহস বৃদ্ধি করছিল এবং প্রশংসা করছিল। এর মাধ্যমে তার ভয় কেটে যায়।সেই অভিজ্ঞতা তাঁকে আজীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রথম দর্শনে পুরো দৃশ্য দেখে তিনি লজ্জা পেয়েছিলেন। তার বাবা-মা ও নিকটজনরা মুখিয়ে ছিল তাকে দেখতে। প্রবীর দাদা প্রশংসাসহ সুন্দর একটি সূচনা করে দিয়েছেন। জোভান ভাই সহশিল্পী হিসেবে খুব সমর্থন দিয়েছিলেন, যার জন্য তারা এখন আটটি নাটকে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। এসব নাটক ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং দর্শকদের ভালোবাসা অর্জন করেছে।
অভিনেত্রী জানান, শুরুতে ক্যামেরার সামনে গিয়ে যে শখ ছিল, এখন তিনি “লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের” মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন। দর্শকদের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রথম নাটকের জন্য তিনি ভালো পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন, তবে অর্থের অঙ্ক বলতে তিনি চান না। যদি পারিশ্রমিক না-ও পেতেন, তবুও তিনি এই নাটকই করতেন। এবার তিনি এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে অভিনয় জীবন উপভোগ করছেন।





