সোমবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ক্যাব ও বিএসএএফই একসঙ্গে কাজ করবে

ভোক্তার অধিকার রক্ষা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ সেফ অ্যাগ্রো ফুড ইফোর্স (বিএসএএফই)। শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে তুলা উন্নয়ন ভবনে আয়োজিত এক জাতীয় সেমিনারে দু’সংগঠনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএএফই এর লিংক পরিচালক মাহমুদ হাসান। এথেকে বোঝা যায়, বর্তমানে দেশে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ ও ভোক্তা অধিকার রক্ষা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অগ্রাধিকার। প্রতি বছর প্রায় তিন কোটি মানুষ খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। বাজারে ভেজাল, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন, অস্পোষিত পণ্য ও অনলাইন প্রতারণার অভিযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন বেড়েছে, কিন্তু বাজারের ৭১ শতাংশ সবজিতে অতিরিক্ত কীটনাশক, তেলবাজারে বিপজ্জনক ট্রান্সফ্যাট ব্যবহার এবং দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, জাতীয় ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে গত বছর জমা পড়া ৮০ হাজারের বেশি অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা গেছে, দেশের ভোক্তা অধিকারের লঙ্ঘন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সমাধানে শক্তিশালী ভোক্তা অধিকার গড়ে তোলা এবং সর্বস্তরে ভোক্তা সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের নীতিকে প্রভাবিত করা প্রয়োজন। যেহেতু একসাথে কাজ করলে দেশের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত সম্ভব। এজন্য প্রযুক্তি ও গবেষণার ওপর ভিত্তি করে সক্ষমতা বাড়ানো ও অংশীদারিত্ব সুদৃঢ় করাও জরুরি। ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা সরকার গঠন করবে, তাদের উচিত নাগরিকদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের অঙ্গীকার করা। এটি এখন রাজনৈতিক দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। কিন্তু এই বিষয়ে এখনো কোনও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা দেখা যায়নি। নতুন সরকার বা বিরোধী দল যেন নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে উদ্যোগ নেয়, সেই লক্ষ্যে আমাদের সক্রিয় থাকতে হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ক্যাব নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিএসএএফই এর সঙ্গে থাকবে। ক্যাবের মূল লক্ষ্যই হলো ভোক্তার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। ক্যাবের আন্দোলনের ফলস্বরূপ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই আলোচনায় তাদের অংশগ্রহণ নেই, যা দুঃখজনক। ক্যাব মনে করে, সকলকে নিয়ে নাগরিকদের ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একযোগে কাজ চালাতে হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন