মঙ্গলবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিশা সওদাগর বললেন, দেশের মানুষ কেন তারকারা ছেড়ে যাচ্ছে

বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের অনেক জনপ্রিয় মুখ এখন বিদেশে অবস্থান করছে। কেউ স্থায়ীভাবে, আবার কারো কারো জন্যই দীর্ঘমেয়াদী ও আরও স্থিতিশীল জীবনযাত্রার জন্য এই পদক্ষেপ। এই পরিস্থিতির পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর সম্প্রতি এক আলোচনায় স্পষ্ট করে বলেন, দেশের মধ্যে পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ ও কর্মসংস্থান না থাকাই মূল কারণ।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মিশা সওদাগর আক্ষেপের সুরে বলেন, একসময় ঢাকা আরকরাজের চেহারা ছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রাণকেন্দ্র, যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুটিং হতো। কিন্তু এখন তার অঙ্গন তেমনটা নয়। তিনি উল্লেখ করেন, অমিত হাসান, মৌসুমী, ইমন, মাহিয়া মাহি কিংবা আলেকজান্ডার বো— সবাই তারা কখনোও দেশের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেননি। তবে কর্মসংস্থান ও কাজের অভাবের কারণে এখন তাদের অনেকেই প্রবাস জীবন পছন্দ করেন।

অভিনেতা আরও তুলে ধরেন, শিল্পীদের জীবনের চমকপ্রদ চেহারার আড়ালে লুকানো কঠিন অর্থনৈতিক বাস্তবতা। বলতে গিয়ে জানান, বেশিরভাগ শিল্পীরই হাতে কাজের অভাব হলে তার গেটআপ, পোশাক, গাড়ি ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান রক্ষা করতে হয়। পরিবারের দায়িত্ব ও ভাইবোনের চাহিদা সামাল দেয়াও তাদের স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যখন রোজগার একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়, তখন পরিবারের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়াই সাধারণ বিকল্প হয়ে ওঠে। তিনি মনে করেন, প্রবাসে শ্রম দিয়ে সম্মানের সঙ্গে জীবন চালানো সম্ভব, যা অনেক শিল্পীর জন্য একমাত্র সমাধান।

সাম্প্রতিক সময়ে অমিত হাসান, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, মাহিয়া মাহি, সাজু খাধেমসহ অনেক তারকা এখন বিদেশের স্থায়ী নাগরিকত্ব বা থাকার অনুমতি নিয়েছেন। এমনকি মিশা সওদাগরের নিজস্ব পরিবারও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থাকছেন এবং সেখানে দীর্ঘ সময় থাকতে হয় তাকে। এর ফলে তারাও প্রয়োজনে মার্কিন মুলুকেই থাকতে বাধ্য হন। এই পরিস্থিতি স্পষ্ট করে দিয়ে বোঝানো যায়, দেশের শিল্পক্ষেত্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান সংকট কতটা গভীর, যা অনেক তারকার জীবনযাত্রার পরিস্থিতিকে দ্রুত বদলে দিচ্ছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন