দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা আবারো বজায় থাকছে। রোববার সন্ধ্যায়, সি সা কেত প্রদেশের কাছাকাছি সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে, যা পুরো অঞ্চলকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এ ঘটনায় অন্তত দুজন থাই সেনা আহত হয়েছেন।
থাই সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় রোববার দুপুর সোয়া ২টার কিছু পরে কম্বোডিয়ার সেনারা আচমকা থাইল্যান্ডের সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এর প্রতিবাদে থাই সেনারা পাল্টা গুলি চালালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এই গোলাগুলি প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে চলে, শেষ হয় দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে। সংঘর্ষে আক্রান্ত দুজন সেনার একজনের পায়ে এবং অন্যজনের বুকের মধ্যে গুলি লাগেছে। এই ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও গম্ভীর করে তুললে, থাই কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার সুবিধাজনক পরিস্থিতি বজায় রাখতে ওই এলাকায় থাকা হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেয়।
এই সংঘাতের মূল কারণ হিসেবে দেখা হয়, টানাপোড়েনের সূচনা হয়েছিল আন্তর্জাতিক মহলে। রোববারই থাইল্যান্ড অভিযোগ করে যে, কম্বোডিয়া গোপনে থাইল্যান্ডের বিশাল অংশে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখেছে। সম্প্রতি এই মাইন বিস্ফোরণে বেশ কিছু থাই ও চীনা নাগরিক আহত হয়েছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে থাই সরকার জাতিসংঘের কাছে তদন্তের দাবি জানায়, ঠিক সেই সময়ে সীমান্তের উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।
আগে গত জুলাই মাসে, এই দুই দেশ দীর্ঘ ১৫ বছরের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যোগদানের ফলে বড় ধরনের সংঘর্ষ শুরু হয়। পাঁচ দিন ধরে চলা এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হন এবং ৩০ জনের বেশি আহত হন। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও, রোববারের এই ঘটনা আবারো সীমান্তের অশান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি





