শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে নির্বাচনের আগে বিরোধীদের ওপর মামলা ও দমনপীড়ন বৃদ্ধি

মিয়ানমারে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের মুখে বিরোধীদের ওপর রাজনৈতিক চাপ আরও বাড়ছে। সামরিক জান্তা সরকার নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করেছে। এই নির্বাচন, যা আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, আন্তর্জাতিক জনমত থেকে সমালোচনার মুখোমুখি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেওয়ার জন্য এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া সাজানো হয়েছে। জান্তা সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে ১৪০টির বেশি মামলায় ২২৯ জনকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আন্দোলনকারীরা, শিল্পীরা, শিশু ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা রয়েছেন।

নতুন নির্বাচনী আইনে ভোট বর্জন বা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিরোধী প্রচার, উসকানি বা প্রচারপত্র বিতরণে ৩ থেকে ১০ বছর কারাদণ্ড বা কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক দণ্ডের বিধান রয়েছে। ইতিমধ্যে মান্দালয় শহরে নির্বাচনে বর্জনের ডাক দের বিপক্ষে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অনুসারে, কিছু ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের কারাদণ্ড ৪৯ বছর পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিশ্ব এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেও জান্তা সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এই নির্বাচন তার দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বিদেশিদের মতামতকে তারা গুরুত্ব দেয় না। অং সান সু চির দল, ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি), ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত করা হয়েছে, যার কারণে তারা এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। সু চি বর্তমানে ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। পরিস্থিতির আরও জটিল হওয়ার কারণে জান্তা সরকার ডিসেম্বরের শেষের পর ১১ জানুয়ারি ও ২৫ জানুয়ারি এই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আরো দুই ধাপে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করেছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন