সোমবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিজ্যুয়ালের দিক থেকে চমত্কার, কিন্তু গল্পে সমালোচনার মুখে ‘অ্যাভাটার ৩’

জেমস ক্যামেরনের বিশ্ববিখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘অ্যাভাটার’-এর তৃতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দুই পর্বের বিপুল দর্শকপ্রিয়তার পর এই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ছিল, তবে মুক্তির পর থেকে অনেকের অভিজ্ঞতা কিছুটা ভিন্ন। অনেক দর্শক ও সমালোচক মনে করেছেন যে, শুধু চমৎকার ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের জন্য সিনেমাটি মানসম্পন্ন হলেও গল্পের গভীরতা ও আবেগের জায়গায় বেশ কিছু কমতি থেকে গেছে। প্যান্ডোরা গ্রহের আগ্নেয়গিরির ধোয়াশায় ঢাকা মানুষের জীবন কিংবা ‘মাংকওয়ান’ গোষ্ঠীর নতুন পরিচয় দিয়ে হলেও মূল গল্পের সঙ্গে দর্শকদের সংযোগটা বেশ খামখেয়ালি বলে মনে হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক নেটিজেন এই সিনেমাকে ‘একই গল্পের পুনরাবৃত্তি’ বলে দায় দিয়েছেন। এক্স (সাবেক টুইটার) ও ফেসবুকে ব্যাপক রসিকতা ও সমালোচনা চলেছে, যেখানে অনেকেই বলছেন যে ক্যামেরনের ভিজ্যুয়াল এফেক্টসের ওপর বেশি জোর দেয়ায় গল্পের আবেগ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমন একজন দর্শক তো বলে উঠেছেন এর মূল্যত তার সিনেমাটি মানে “৪০০ মিলিয়ন ডলারের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন।” দর্শকদের বড় অভিযোগ—৩ ঘণ্টা ১০ মিনিটের এই দীর্ঘ সিনেমায় খুব বেশি কারিগরি কৌশলই দেখানো হলেও, হৃদয়স্পর্শী অনুভূতি বা গল্পের গভীরতা দেখা যায়নি।

তবে কারিগরি দিক থেকে এ সিনেমাটি অসাধারণ বলে মনে করছেন বেশ কিছু সমালোচক, এবং তারা আশা করছেন এটি যথাযথভাবে অস্কারে ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট বিভাগে পুরস্কার জিতবে। প্যান্ডোরার অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব ও নাভিদের রেষারেষির গল্প নতুন মাত্রা যোগ করলেও, একই ধরনের দৃশ্যপট দীর্ঘক্ষণ দেখলে অনেক দর্শকই ক্লান্ত হয়েছেন। তবে গল্পে সমালোচনা থাকলেও, বক্স অফিসে এর প্রভাব খুব বেশি পড়েনি। প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেটে নির্মিত এই সিনেমাটি ভালো সাড়া ফেলেছে, যদিও প্রথম দিনের আয় আগের কিস্তির তুলনায় কিছুটা কম। চলচ্চিত্র বিশ্লেষকেরা আশা করছেন, এটি ঢেলে সাজানো বা ভিন্ন কিছু উপস্থাপন করতে পারলে, এটি আবারও ২ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে প্রবেশ করতে পারে কি না, সে অপেক্ষা।’

পোস্টটি শেয়ার করুন