ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন নানা আয়োজনের মাধ্যমে এক জমকালো মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে স্কুলের স্মৃতিতে মেতেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা ও পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম, যারা বেলুন উড়িয়ে এই দুই দিনের উৎসবের সূচনা করেন।
শুরুতেই সকালে তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন হাজারো সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী। অংশগ্রহণে অংশ নেয় কোরআন তেলাওয়াত, গীতাপাঠ, জাতীয় সংগীতের সমবেত পরিবেশন, শপথপাঠ ও স্কুলের ভাষণে।
প্রথম দিনের কর্মসূচির একটি অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে স্কুল থেকে বের হওয়া বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা শহরজুড়ে প্রধান সড়কগুলো পার করে প্রেসক্লাব মোড়, জনতা ব্যাংকের মোড়, থানা রোড, কাঠপট্টি, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ সড়ক ও কোর্ট চত্বর হয়ে শেষ হয় স্কুলে। এতে ছিল স্মৃতিচারণা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং বিভিন্ন অন্যান্য কর্মসূচি।
১৮৪০ সালে ব্রিটিশ-ভারত সরকারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটি ছিল অনেক গুলো বিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে ১৮৫ বছর আগে, এবং শুরু থেকেই এ অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি, সংগ্রাম ও আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কালক্রমে মর্যাদা ও গৌরবে ভাসে এটি, এবং আজও এটি এই অঞ্চলের অন্যতম প্রিমিয়ার বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
এই বড় occasion সফল করার জন্য গঠিত হয়েছে গৌরবময় ১৮৫ বছর উদযাপন ও পুনর্মিলনী কমিটি। এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান শামীম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন ওয়াহিদ মিয়া কুটি। এই উদযাপন কার্যক্রমে আরও ১৮টি উপকমিটি বিভিন্ন কাজের জন্য গঠন করা হয়েছে।
উদযাপন কমিটির আহ্বায়কের মতে, ‘এ অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হলো আমাদের প্রাণের স্কুলের অতীত কাল ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা, এবং নতুন প্রজন্মকে তাঁদের ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।’
অতিরিক্ত, অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় নগর বাউল জেমস সংগীত পরিবেশনে অংশ নেবেন বলে থাকেন আয়োজনকারীরা। এই সব আয়োজনের মাধ্যমে স্কুলের দীর্ঘ দিনের ইতিহাস ও কালপ্রবাহের স্মৃতি নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরা হবে।





