রিয়ালিটি শো ‘বিগ বস ১৯’-এ তার বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং ১৬০ জন দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন তানিয়া মিত্তল। অনেকরই তাঁর ব্যবসায়ী পরিচয় সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি এই সব সমালোচনার জবাব দিতে এক অনন্য পদক্ষেপ নিলেন তিনি। নিজের মালিকানাধীন কনডম তৈরির কারখানা সরাসরি দেখিয়ে নেটিজেনদের মন জয় করেছেন এই উদ্যোক্তা।
সাম্প্রতিক এক সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে তিনি তাঁর কারখানার ভেতরকার কাজের ধাপগুলো তুলে ধরেন। ভিডিওটিতে দেখা যায়, একদল আধুনিক স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে বিশাল একটি কারখানায় কনডম তৈরি করা হচ্ছে। কাঁচামাল থেকে শুরু করে উৎপাদন ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্যাকেজিং—প্রতিটি ধাপ দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে। তানিয়া জানান, যেহেতু কনডম মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, তাই তাঁর কারখানায় গুণমানের ব্যাপারে তিনি কোনো আপস করেন না। প্রতিটি পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে কঠোর ল্যাব টেস্ট ও মান পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
ভিডিওতে তানিয়াকে তাঁর কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে বেশ মামুলি ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখা যায়। শ্রমিকরা তাঁকে ‘বস’ বা ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে এবং জানান যে তারা নির্দিষ্ট শৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করেন ও নিয়মিত পারিশ্রমিক পান। এর মাধ্যমে তানিয়া প্রমাণ করতে চেয়েছেন, তিনি কেবল নামমাত্র মালিক নন, বরং কারখানার প্রতিদিনের কার্যক্রমের সঙ্গে তিনি নিজেও সরাসরি জড়িত।
অর্জিত সফলতার পাশাপাশি তিনি সামাজিক সচেতনতার ব্যাপারে Também গুরুত্ব দিয়েছেন। তানিয়া বললেন, “আমাদের সমাজে যৌনস্বাস্থ্য বা কনডম নিয়ে কথা বলা এখনও অনেকের কাছে লজ্জার বিষয়। তবে এটি একটি অপরিহার্য ও দায়িত্বশীল শিল্প। এই জড়তা ভাঙতেই আমি সরাসরি কারখানার ছবি সব মানুষের সামনে তুলে ধরেছি।”
তানিয়ার এই সাহসী পদক্ষেপ নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ তাঁর উদ্যোগের প্রশংসা করছেন, কেউ আবার তাঁর আত্মবিশ্বাস ও উদ্যোগের প্রশংসা করে তার সফলতা স্বীকার করেছেন। রিয়ালিটি শো-এর গ্ল্যামার আর বিতর্কের বাইরে উঠে দাঁড়িয়ে, একজন আত্মবিশ্বাসী ও সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে নতুনভাবে প্রকাশ করেছেন তানিয়া মিত্তল। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময়কার চাপ বা সমালোচনা তাঁকে দমাতে পারেনি, বরং তিনি এখন নিজের কাজে আরও বেশি সক্রিয় ও দৃঢ়।





