ওয়াশিংটন ডিসিতে কেনেডি সেন্টারের নাম পরিবর্তন করে ‘ট্রাম্প-কেনেডি সেন্টার’ রাখা হয়েছে। এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্তের খবর প্রকাশের পর অনেকের মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে, কারণ এটি ফেডারেল আইনের আওতায় সুরক্ষিত এবং এইভাবে নাম পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে কেনেডি পরিবারের একজন সদস্য জো কেনেডি জানিয়েছেন।
অপরদিকে, ডেমোক্র্যাট পার্টির আইনপ্রণেতা জয়েস বিটি এই বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, কেনেডি সেন্টারের বোর্ডের সদস্য হিসেবে মনোনীত কয়েকজন ডেমোক্র্যাটের একজন হিসেবে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, নাম পরিবর্তনের এই উদ্যোগটি অবৈধ। কারণ, এমন সিদ্ধান্তের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন আবশ্যক। মামলার তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, বোর্ডের এক সভায় বিটি ফোনে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু যখন তিনি এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানান, তখন তাকে আবারো বাধা দেওয়া হয়।
গত সপ্তাহে কেনেডি সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদ ভোটের মাধ্যমে এই পারফর্মিং আর্টস কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে ‘ট্রাম্প-কেনেডি সেন্টার’ করার সিদ্ধান্ত নেয়। উল্লেখ্য, এই প্রতিষ্ঠানটির বোর্ডে বর্তমানে ট্রাম্পের বহু সমর্থক ও মিত্ররা রয়েছেন। তারা সবাই নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত বা মনোনীত। বিখ্যাতভাবে, ট্রাম্পকে নিয়ে বোর্ডের সদস্যরা অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন করেন, যেখানে তিনি নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে বিশদভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা রিচার্ড গ্রেনেলকেও বোর্ডের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। এর ফলে, বোর্ডের পরবর্তী সিদ্ধান্তে ট্রাম্পের প্রভাব বাড়ে এবং কেন্দ্রের কার্যক্রমে তার লেখাপড়া স্পষ্ট দেখা যায়।





