সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নতুন বছরে শুরু হতে পারে

নতুন বছর ২০২৬ এর শুরুতেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হতে পারে বলে চ্যানেল ১৩ এর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর। এই সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারীরা আগামী জানুয়ারির শুরুর দিকে গাজার জন্য নতুন কার্যকর ধাপের পরিকল্পনা করছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইসরায়েল ও মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছেন যে, দ্বিতীয় ধাপের এই চুক্তি জানুয়ারির শুরুতেই বাস্তবায়িত হবে। তবে এই প্রক্রিয়াকে ঘিরে কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা; তারা বলেছেন, গাজার নিরস্ত্রীকরণ ছাড়াই যদি দ্বিতীয় ধাপে এগোতে হয়, তবে তা আরও ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে। মিডল ইস্ট মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর মিশর, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় এবং ট্রাম্পের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি হামাস দল দুই ধাপের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং দ্বিতীয় ধাপে যেতে বিলম্বের কারণে এখনও পর্যন্ত চার শতাধিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় এখন পর্যন্ত এ সংখ্যা বেড়ে ৭১ হাজারের বেশি হয়েছে, যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন প্রায় দেড় লাখের বেশি মানুষ। পাশাপাশি, জেনিন অঞ্চলে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই ইসরায়েলি নিহত ও বেশ কিছু আহত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এক ফিলিস্তিনি যুবক গাড়ি চাপা দিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে কয়েকজন দখলদার ইসরায়েলি বসতি-স্থাপনাকারীকে আঘাত করে। এই যুবক জেনিনের কাবাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা, কয়েক দিন আগে বেইত শান এলাকায় গিয়ে ওই হামলা চালায়। প্রথমে একজন ইসরায়েলিকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত করেন, এরপরে তার ওপর ছুরিকাঘাত করে। এতে সেই দখলদারও মারা যায়। তার এ অভিযানে আরও ছয়জন আহত ও গ্রেপ্তার হয়েছে। জানা গেছে, এই যুবক ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের সদস্য। সম্প্রতি গাজা ছাড়াও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন এলাকাগুলোতেও ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতি নির্মাণকারীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় এই ধরনের অভিযান আরও বাড়ছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন