সব শেষ বছর বল হাতে দারুণ সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ দলের তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে হয়েছেন দেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি। ২০২৩ সালে নিজের ঝুঁলিতে নিয়েছে ৫২ উইকেট। এর মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে ৫ ম্যাচে ৭.৭৭ ইকোনমি আর ১৪.২৫ গড়ে নিয়েছেন ৮ উইকেট।
ওয়ানডেতে ১৯ ম্যাচে ৩২ উইকেট, ইকোনোমি ৫.৫০। প্রতি উইকেট নিতে তিনি খরচা করেছেন ২৪.৮৭ রান। টেস্টে ৪ ম্যাচে ১২ উইকেট। নিজের ঐ পারফরম্যান্সই ধরে রাখতে চান শরিফুল। আসন্ন বিপিএল এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এটাই তার লক্ষ্য। গতকাল এমনটি জানিয়েছেন তিনি।
শরিফুলের প্রথম দিন হলেও তার দল দুর্দান্ত ঢাকার দ্বিতীয় অনুশীলন সেশন ছিল সোমবার। জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণেই একটু বাড়তি ছুটি দেওয়া হয় তাকে। ছুটি শেষে এ দিন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে ঘাম ঝরান তিনি। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, শেষ বছরটা ভালো গেছে, বিশেষ করে শেষ ছয়-সাত মাস। নতুন বছর বিপিএল দিয়ে ক্রিকেটে ফিরব। চেস্টা থাকবে সেই ফর্মটা ধরে রাখার যতটা ফিট থেকে খেলা যায় আরকি। কারণ সামনে অনেক খেলা আছে দেশের হয়ে। তো এটাই আমার মূল লক্ষ্য।’
বিপিএলের ১০ আসরে ২২ বছর বয়সি এই পেসারের দলে তিনি ছাড়াও আছেন জাতীয় দলের আরেক অভিজ্ঞ তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ। শরিফুল আশাবাদী তাসকিনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পারফরম্যান্স করতে পারবেন। বলেন, ‘ড্রাফট শেষ, আমাদের দলও খুব ভালো হয়েছে। যা আছে এটা নিয়েই লড়াই করতে হবে, চেষ্টা করব এই দল নিয়েই ভালো কিছু করার।’
এদিকে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে নিজেকে ফিট রাখাই প্রধান লক্ষ্য শরিফুলের। এই পেসারের বিশ্বাস এবারের বিপিএলে অন্য পেসাররাও নতুন কিছু করার চেষ্টা করবেন। শরিফুলও একই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে শরিফুল বলেন, ‘অবশ্যই বিপিএল অনেক সাহায্য করবে। যেহেতু সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমাদের এটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সবাই চাইবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে পারফরম করতে। আর নতুন কিছু করতে। এটা বিশ্বকাপেও আমাকে সাহায্য করবে।’
তবে এবার আসরের অন্য দলগুলোর তুলনায় খানিকটা কমশক্তির দল তৈরি করেছেন ঢাকা। তাদের দলে নেই তেমন কোনো তারকা ক্রিকেটার নেই। তরুণদের ছড়াছড়ি। তবে শরিফুলের বিশ্বাস তার দল শেষ চারে খেলতে পারবে। আর সেই দিকেই মুল ফোকাস তাদের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে চারে ওঠা। সুপার ফোরে উঠতে পারলে আমরা ফাইনালের চিন্তা করব। আমাদের দলে আমি আছি, সৈকত ভাই আছে, তাসকিন ভাই আছে। ইরফান শুক্কুর ভাই আছে, সাইফ হাসান আছে নাইম শেখ আছে, দেশি প্লেয়াররা আমরা যদি ভালো করি, কিছু কিছু ম্যাচে উইনিং পারফরম্যান্স করি তাহলে আমরা ভালো করব।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে শরীফুল বিপিএলে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে বলেন, ‘প্রতিটা দলই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চায় ভালো করবে শেষ চারে থাকবে। আমাদেরও সেই আশা আছে এখন খেলা শুরু হলে বোঝা যাবে আমরা কত দূর যেতে পারব না পারব। তবে আমাদের শুরু থেকেই চেষ্টা থাকবে সেরা চারে যাওয়ার।’