শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামনের নির্বাচন সহজ হবে না: তারেক রহমান

জনগণের কাছে থাকার ও জনগণকে কাছে রাখার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, দিন যত যাচ্ছে, তত বোঝা যাচ্ছে- সামনের নির্বাচন এতো সহজ হবে না। নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, সামনের যে নির্বাচন আমরা মোকাবিলা করতে যাচ্ছি, হতে পারে আমাদের একটি প্রতিপক্ষ অনেক দুর্বল হয়ে গেছে, তারপরেও এ নির্বাচন দেশের যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে অনেক কঠিন হবে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংক কুয়েট হলে রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফাবিষয়ক খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় এবং খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

তারেক রহমান বলেন, ২০ বছর আগে যখন মানুষ কম-বেশি নির্ভয়ে ভোট দিতে পারত, যখন ২০০১ সালের নির্বাচন ধরেন, সেই সময় থেকে মানুষের চিন্তা-ধারার পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের ধ্যার-ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ এখন অনেক অনেক সচেতন।

সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, গত কিছুদিন সমাজের কিছু ব্যক্তি সংস্কারের কথা বলছে। গত ৫ মাস আগেও তারা বলেনি। কিন্তু বিএনপি ২ বছর আগে থেকে সংস্কারের কথা বলছে। বিএনপি দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে। ৩১ দফা তারই প্রমাণ। তারা গত ৩-৪ মাস সংস্কারের যে কথা বলছে, তার সবকিছুই ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে। এই ৩১ দফা শুধু বিএনপির তাই নয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সকল দলের।

জনগণের প্রতি আস্থা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ৩১ দফা সফল করতে যে কোনো মূল্যে জনগণের সমর্থন ধরে রাখতে হবে। দলের পক্ষে পরিকল্পনা নিতে হবে। কিভাবে জনগণকে পাশে রাখবেন। সব কিছুর লক্ষ্য হচ্ছে, জনগণের সমর্থন আমাদের পক্ষে আনার। একইসঙ্গে আমাদের পরিকল্পনা যাতে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি। ৩১ দফার সকল কিছু জনগণের মাঝে নিয়ে যেতে হবে। জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, গত ১৭ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপনারা সংগ্রাম করে যেভাবে টিকে ছিলেন, তার থেকে সহজ হবে- এই কাজটা জনগণের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এতো কঠিন পথ যদি আপনারা পাড়ি দিয়ে আসতে সক্ষম হন, তাহলে একটু কষ্ট করলেই ৩১ দফা আমরা জনগণের মাঝে নিয়ে যেতে পারি। এই কাজ আপনারা খুব সহজের সকলকে সঙ্গে নিয়ে করতে সক্ষম হবেন।

তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্রের সম্পদ দেশের প্রান্তিক মানুষের জন্য। বিশেষ কোনো ব্যক্তির জন্য নয়। দেশের সম্পদ কিভাবে কাজে লাগানো যায় সেটি আমরা চেষ্টা করবো।

খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আনিদ্য ইসলাম অমিতদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, বিএনপির সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক এডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী, বিএনপির মিডিয়ার সেলের আহবায়ক ড. মওদুদ আলমগীর পাভেল প্রমুখ।

পোস্টটি শেয়ার করুন