শুক্রবার, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজয় দিবসের আনন্দকে দ্বিগুল করলো বাংলাদেশ দল

পরাধীনতার শিকল ছিঁড়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশেরদামাল ছেলেরা। বিজয়ের এমন দিনেই শ্বাসরুদ্ধকর এক বিজয় উপহার দিলো বাংলার টাইগাররা।

ক্যারিবিয়ানে সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনের আর্নস ভেল স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর একম্যাচ উপভোগ করলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। যেখানে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্টইন্ডিজকে ৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে১৪৭ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ১৯.৫ ওভারে ১৪০ রানে থামে ক্যারিবীয়রা। এতে ৬ বছর পর ওয়েস্টইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টিতে হারাল বাংলাদেশ।

শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০ রান। ক্রিজে তখনও ছিলেন বিধ্বংসী ব্যাটার রোভমানপাওয়েল। রোমারিও শেফার্ডের সঙ্গে যার ৩৩ বলে ৬৭ রানের জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দিচ্ছিলেনপ্রায়। হাসান মাহমুদের শেষ ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য হলেন তিনি। সাজঘরে ফেরেন ৩৫বলে খেলেন ৬০ রানের ইনিংস খেলে। তিনি ফিরতেই মূলত জয়টা নিশ্চিত হয়ে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদেরজন্য। এরপর এক বল বিরতি দিয়ে বোল্ড আলজারি জোসেফ।

১৪৭ রানের মাঝারি পুজি নিয়েও বল হাতে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার করতে এসেপ্রথম বলেই উইকেট নিলেন তাসকিন আহমেদ। ব্র্যান্ডন কিংকে ফেরান টাইগার এই পেসার। পরের ওভারেমেহেদী নিলেন পুরানের উইকেট। এতে ২ রানে ২ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পঞ্চম ওভারে মেহেদীর বলেহাসান মাহমুদের ক্যাচে পরিণত হয় চার্লস (১২ বলে ২০)।

সপ্তম ওভারে মেহেদীর জোড়া আঘাতে ৩৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ৬.৩ওভারে শুরুতে আন্দ্রে ফ্লেচারকে শূন্য রানে স্টাম্পড করিয়েছেন। এক বল পর চেজকেও (৭) ফিরিয়েছেনলিটনের গ্লাভসবন্দি করে। যা ছিল মেহেদীর চতুর্থ শিকার! শুরুতে অবশ্য চেজকে আম্পায়ার আউট দেননি।রিভিউ নেওয়াতেই মিলে সাফল্য।

১তম ওভারে গুডাকেশ মোতিকে (৬) লিটনের গ্লাভসবন্দি করে ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন তানজিম সাকিব। পরেরওভারে আঘাত হানেন রিশাদ হোসেনও। তাকে মেরে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নতুন ব্যাটার আকিলহোসেন (২)। তার বিদায়ে ৬১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে স্বাগতিক দল।

শেষ ১৮ বলে ২০ রান দরকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের। বোলিংয়ে আসেন তাসকিন। প্রথম বলেই রিশাদের ক্যাচবানিয়ে শেফার্ডকে ফেরালেন। উইন্ডিজ এই ব্যাটার ফিরলেন ১৭ বলে ২২ রান করে। তবে ফিফটি করে টিকেছিলেন রোভমান পাওয়েল। শেষওভারে ১০ রান দরকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হাসান মাহমুদের বলেউইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পাওয়েল। ৩৫ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১ বল পরইশেষ ব্যাটার ওবেদ ম্যাকয়কে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ৭ রানের জয় এনে দিলেন হাসান মাহমুদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন