রবিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিডা ও সুইসকন্টাক্টের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

বাংলাদেশের বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সুইসকন্টাক্টের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও শক্তিশালী করা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও সুবিধাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা।

গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডা সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তির স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে জানানো হয়, চুক্তির আওতায় তিনটি মূল লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। সেগুলো হলো: প্রমাণনির্ভর বিনিয়োগ পরিবেশ বিশ্লেষণ ও সমন্বয় জোরদার করা, বিডাকে একটি বিশ্বমানের বিনিয়োগ প্রচার সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা, এবং খাতভিত্তিক বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ উন্নয়ন করা।

অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, বিডা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিনিয়োগ পরিপ背景 উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে, বিনিয়োগ নীতিমালা সংস্কার, সেবা ডিজিটালাইজেশন এবং সরকারি সংস্থাগুলোর মাঝে সমন্বয় বাড়ানো হচ্ছে। সুইসকন্টাক্ট ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন পৌরসভায় ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাজ করছে।

বিডার জনসংযোগ দপ্তর জানায়, এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিডা ও সুইসকন্টাক্ট নতুন এক সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে। এ উদ্যোগটি বিডার ‘হিট ম্যাপ’ অনুযায়ী বিভিন্ন খাতভিত্তিক বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে সহায়তা করবে।

বিডা চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়তে সরকার নানা রকম সংস্কার কার্যক্রম চালাচ্ছে। সুইসকন্টাক্টের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদের ‘ইনভেস্টর-ফার্স্ট’ মডেল বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমাদের লক্ষ্য হলো, বিনিয়োগকারীরা যেন বাংলাদেশকে একটি দক্ষ, সেবাগ্রহণের সুবিধা থাকায় সম্ভাবনাময় গন্তব্য হিসেবে মনে করে।

বিডা জানায়, সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের টেকসই উন্নয়ন, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, এবং প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা শক্তিশালী করতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। তারা বিশ্বব্যাপী এই বিশ্বাস করে, এই সহযোগিতা বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ বাড়াবে, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করবে, বিশেষ করে তরুণ ও নারীর জন্য।

উভয় সংস্থা বিশ্বাস করে, এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ আরো উন্নত হবে, মানসম্পন্ন বিনিয়োগ বেড়ে যাবে, এবং টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন