শুক্রবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো আইন হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, বাংলাদেশে কোরআন ও সুন্নাহর বিরোধী কোনো আইন করা হবে না। তিনি বলেন, যদি ইতিমধ্যে এ ধরনের কোনো আইন থাকলে, তা দ্রুত বাতিল করে দেওয়া হবে। রোববার ঢাকার শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। বিএনপি নেতা উল্লেখ করেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনায় Allahরের ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ শাসকগোষ্ঠী এই মূলনীতি থেকে সেটি অস্বীকার করে সংবিধান থেকে আল্লাহর মান্যতা অপসারণের চেষ্টা চালিয়েছিল, যা এখন পুনর্ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সম্মেলনে ইমাম ও খতিবদের পক্ষ থেকে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে একটি হলো, যথাযথ প্রমাণ ও তদন্ত ছাড়া কোনো ইমাম, খতিব বা আলেমকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা যাবে না। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ও তদন্ত ছাড়া দেশের কোনো নাগরিককে গ্রেপ্তার করা বৈধ নয়। তিনি অভিযোগ করেন, বিগত সময়ের আওয়ামী শাসকরা দাড়ি-টুপি ও আলেম-উলামাদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালিয়েছে, বিভিন্ন অজুহাতে ধর্মীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে জঙ্গি বানানোর নাটক সৃষ্টি করেছিল। এখন বাংলাদেশে সেই অন্ধকার যুগ চলে গেছে, গণতন্ত্রের নতুন বিশ^াস ফিরে এসেছে। এই দেশে আইন লঙ্ঘন করে কোনও বেআইনি কার্যক্রম চালানো যাবে না। তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, ইসলামের মদিনার আদর্শ অনুসারে তারা বাংলাদেশের জন্য চায় শান্তি ও সম্প্রীতি। বিভিন্ন রাজনৈতিক ফেতনা-ফাসাদ শান্ত করার জন্য সম্মিলিতভাবে ইমাম, খতিব ও আলেমদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। মসজিদগুলো যেন দুনিয়ার অন্য কোনো কাজে ব্যবহৃত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ধর্মীয় বিষয়াদি বিতর্কের উর্ধ্বে রেখে ইসলাম ও ধর্মীয় নেতাদের প্রশংসা প্রচার করতে হবে। মূল ধারণা হলো, মসজিদ, ইমাম ও খতিবরা যেন রাজনৈতিক ও সমাজের অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক এড়িয়ে থাকেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তারা জানান, দেশের সার্বিক উন্নয়ন, ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা ও সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এই ধরনের সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। পাশাপাশি, সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে রয়েছে- সব ধর্মের প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা বজায় রেখে ইসলামি শরিয়াহর মূলনীতিগুলোর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও পানির বিল মওকুফ, ইমাম ও আলেমসংখ্যাকে সরকারি নিয়োগের অগ্রাধিকার, এবং সমাজ সংস্কারমূলক কার্যক্রমে ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ততা। এ সবের জন্য প্রয়োজন সম্মানজনক ভাতা ও মানবিক সুযোগ-সুবিধা।’

পোস্টটি শেয়ার করুন