শুক্রবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হারুন ও বেনজীর পরিবারের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীরের স্ত্রী জীশান মির্জা ও তাদের কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের জন্য আদালতের আদেশ প্রদান করা হয়েছে। বুধবার ঢাকার কর অঞ্চল-২০ এর কাছে পৃথক তিনটি আবেদন শুনানির মাধ্যমে এই নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর ট্রাইব্যােরাল-এর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রিয়াজ হোসেন। আবেদনের দিকে নজর দিয়ে দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন আবেদন করেছিলেন, যাতে তিনজনের আয়কর নথি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

হারুনের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোট ১৭ কোটি ৫১ লক্ষ ১৭ হাজার ৮০৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং এই সম্পদগুলো ভোগদখলে রেখেছেন। দুদকের জন্য এই বিষয়ে তদন্ত সুষ্ঠুভাবে চালানোর স্বার্থে তার আয়কর নথি জব্দ করার প্রয়োজন রয়েছে।

অপরদিকে, বেনজীরের স্ত্রী জীশানের আবেদনে বলা হয়, তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১৬ কোটি ১ লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ টাকার সম্পদ গোপন করে এবং ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ভোগদখলে রেখেছেন। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারার এবং বাংলাদেশ পুলিশ ও র্যাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থাকতে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে এই অপরাধের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে মামলার বিবরণী মনে করছে। এই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার সব আয়কর রিটার্ন ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তাহসীন রাইসার আবেদনে বলা হয়, তার কাছে পর্যাপ্ত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫ টাকার সম্পদ রয়েছে, যা তিনি ভোগদখলে রেখেছেন। তার স্বামী বেনজীর আহমেদের পদমর্যাদার কারণে ক্ষমতার অপব্যবহারে জীশানকে এই অপরাধে প্রত্যক্ষ সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে, ফলে এই মামলার তদন্তের জন্য তার আয়কর নথি জব্দ করা আবশ্যক বলে মনে করা হচ্ছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন