বিএনপি আশা করছে যে, দেশের এইতিহাসিক ও উদারপন্থী নির্বাচনের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজকে সাংবাদিকদের সামনে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, একই সঙ্গে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার ফলে দেশজুড়ে নতুন এক সুযোগের দ্বার খুলে গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের মনে প্রত্যাশা, নির্বাচন কমিশন যেন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা, সুষ্ঠুতা এবং দেশের জনগণের বিশ্বাসভাজন করে একটি নির্বাচনের আয়োজন করে। সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীই দায়িত্ব নিতে হবে যেন এ নির্বাচন একটি উৎসবের মতো হয়। আমরা সবাই জানি, বিগত পঁইশত বছর ধরে দেশের নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। এখন আবার সুযোগ এসেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতের প্রতিনিধিত্বকারী পার্লামেন্ট গঠন করতে পারব।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘প্রায় নয় মাস ধরে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘ আলোচনা করেছে। অনেক বিষয়ে আমরা একমত হলেও কিছু বিষয়ে এখনো মতভেদ রয়েছে, সেগুলো গণভোটের মাধ্যমে সমাধান হবে। এ ব্যপারগুলো দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।’
প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর জোটের সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনও সমস্যা নেই। রাজনৈতিক দলগুলো মধ্যে এই ধরনের আলোচনা স্বাভাবিক। আমরা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা এখনও নির্ধারণ করিনি, তবে তা খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত হবে। যারা আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।’
বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দীর্ঘ বিরতির পরে এই প্রথম একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন হতে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আমি আগে থেকেই বলেছি, আমার কোনও আশঙ্কা বা চিন্তা নেই যে, নির্বাচন হবে কিনা। নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী, তার তারিখ ঘোষণা হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ כיום যারা তফসিল ঘোষণার পরেও নির্বাচনের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করছে, তাদের তিনি ‘শঙ্কাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করেন।





