বুধবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদনে পাকিস্তানের এফ-১৬ আধুনিকায়ন প্রকল্প

পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বহরকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৬৮৬ মিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল সামরিক আপগ্রেড প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। এই সিদ্ধান্তটি দীর্ঘ আইন流程 ও কংগ্রেসীয় নোটিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়। মার্কিন মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা সংস্থা লকহিড মার্টিন এই প্রকল্পের প্রধান ঠিকাদার হিসেবে মনোনীত হয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এফ-১৬ বিমানের ডিজাইন, আধুনিকায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ পরিচালনা করছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ডন।

এই বিক্রয় প্রক্রিয়া মূলত মার্কিন ‘আর্মস এক্সপোর্ট কন্ট্রোল অ্যাক্ট’ ও বার্ষিক বাজেট বরাদ্দের আওতায় সম্পন্ন হয়েছে। ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) পাকিস্তানের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার আপগ্রেড, রক্ষণাবেক্ষণ সহায়তার জন্য অর্থের অনুরোধ কংগ্রেসে উপস্থাপন করে। নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ দিনের পর্যালোচনা সময়ের মধ্যে যদি কোন আপত্তি না আসে, তবে এই বিক্রয় চূড়ান্ত হয়। এই ধরনের সামরিক লেনদেন সাধারণত দেশের নিজস্ব অর্থায়ন বা যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বের অনুমোদিত অর্থ, ঋণ বা অনুদানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

গত সপ্তাহে কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই আধুনিকায়নের প্রধান লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের ব্লক-৫২ ও মিডলাইফ আপগ্রেডকৃত এফ-১৬ বিমানের কার্যকাল ২০৪০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র বাহিনীসহ পাকিস্তানের সামরিক সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সক্ষম হবে। মোট বাজেটের মধ্যে ৩৭ মিলিয়ন ডলার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং আরও ৬৪৯ মিলিয়ন ডলার রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্যাকেজের আওতায় ৯২টি লিংক-১৬ ট্যাকটিক্যাল ডেটা-লিংক সিস্টেম, অ্যাভিওনিক্স আপগ্রেড, নিরাপদ যোগাযোগ ও নেভিগেশন সরঞ্জাম, পাশাপাশি অত্যাধুনিক ক্রিপ্টোগ্রাফিক ডিভাইস সরবরাহ করা হবে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান প্রথম ২০২১-২২ সালে এই আধুনিকায়নের অনুরোধ জানায়। যদিও বাইডেন প্রশাসনের সময় এটি বাস্তবায়ন হয়নি, তবে ২০২৪ সালে একটি নোটিফিকেশন জারির মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে ২০২৫ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের অবনমনে নতুন করে কংগ্রেসে নোটিফিকেশন পাঠানো হলে আইনি সময়ের মধ্যে কোন আপত্তি না ওঠায় চূড়ান্ত অনুমোদন নিশ্চিত হয়। এই প্রকল্পের মধ্যে বিমানের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার সংশোধন, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, ও গোলাবারুদ পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ সরঞ্জামসমূহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন