সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য বাংলাদেশের নাসির হোসেনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে তাকে নিষিদ্ধ করা হয় বলে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইসিসি।
আইসিসির দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে আগামী ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল আবার ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন নাসির।
নাসিরের বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতি দমনবিধি লঙ্ঘনের তিনটি অভিযোগ আনা হয়। তার সবই স্বীকার করে নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। একটি আইফোন ১২ উপহার নিয়েছিলেন নাসির। কোডের ধারা ২.৪.৩ অনুযায়ী, মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কাছে বিলম্ব না করে সেই উপহারের রসিদ দেখাতে ব্যর্থ হন। যার মূল্য ৭৫০ ডলারেরও বেশি ছিল।
কোডের ধারা ২.৪.৪ অনুযায়ী নতুন আইফোন ১২-এর মাধ্যমে দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তার সম্পূর্ণ বিশদ দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার প্রকাশ করতে ব্যর্থ হন নাসির। আর কোডের অনুচ্ছেদ ২.৪.৬ অনুযায়ী কোনো যুক্তি ছাড়াই দুর্নীতিমূলক আচরণের বিষয়ে মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে সহযোগিতা করতেও প্রত্যাখ্যান করেন।
মূলত আবুধাবির টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন নাসির। ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের উপহার নিলেও তা আমিরাত বোর্ডের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হওয়ায় গত সেপ্টেম্বরেই ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে তাকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার আইসিসি থেকেও শাস্তি পেলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলা নাসির সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। গত মে মাসে বাংলাদেশে সর্বশেষ স্বীকৃত ক্রিকেট খেলেন তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। গত আগস্টে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে ইউএস মাস্টার্স টি-টেন লিগে খেলেছিলেন নাসির, যেটি টি-টেন গ্লোবাল লিগেরই অংশ।
গত আসরে বিপিএলের অন্যতম সেরা পারফরমার ছিলেন এই অলরাউন্ডার। ঢাকা ডমিনেটরসের হয়ে তিনি ১২ ম্যাচ খেলে ৪৫.৭৫ গড়ে ৩৬৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ১৪.৬ গড়ে নিয়েছিলেন ১৬টি উইকেট।